চিকিৎসা জগতের এই বিশাল উন্নতির মধ্যে অতি ক্ষুদ্র যে যন্ত্র টি আমাদের অনেক কাজে আসে তা হল pulse oximeter.
1953 সালে সর্বপ্রথম জার্মান বিজ্ঞানী কার্ল ম্যাথ এটি তৈরি
করেন। pulse oximeter দিয়ে অতি সহজেই ব্যাথাহীন ভাবে খুব সহজেই রক্তে অক্সিজেনের সম্পৃক্ততা পরিমাপ করা যায়।
মানুষের রক্তে বিভিন্ন ধরনের রক্ত কণিকা রয়েছে তার মধ্যে লোহিত রক্ত কণিকা অন্যতম এবং লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি যুগ্ন প্রটিন রয়েছে যাতে আয়রণ ও উপস্থিত আছে। এই হিমোগ্লোবিন দেহে অক্সিজেনের বাহক হিসেবে কাজ করে। হিমোগ্লোবিন এবং অক্সিজেন পরস্পর সম্পৃক্ত অবস্থায় পরিবাহিত হয়, একেই অক্সিজেনের সম্পৃক্ততা বলে।
মূলত রক্তে কি পরিমাণ অক্সিজেনে পরিবাহিত হচ্ছে তা pulse oximeter দিয়ে মাপে।দেহে অক্সিজেনের অবস্থা পরিমাপের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন COPD, অ্যাজমা,নিউমোনিয়া,ফুসফুস ক্যান্সার,হৃদরোগ ইত্যাদি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
একজন সুস্থ্য মানুষের দেহে 89 ভাগ রক্ত অক্সিজেন বহন করে ।যদি কারো দেহে ৯৫% অক্সিজেন সম্পৃক্ত হয় তাহলে সেটিকে আদর্শ বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু অক্সিজেন সম্পৃক্ততা ৯২% এর নিচে হলে অক্সিজেন স্বল্পতা বা হাইপোক্সিয়া হয়ে যায়।
বর্তমানে করোনার চিকিৎসা সেবা তেও এই মেশিনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কারণ করোনার সময় মানব দেহের ফুসফুস খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমে রোগী দ্রুত আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে যায়। এই সময় pulse oximeter এর সাহায্যে খুব দ্রুত শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা নির্ণয় করে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়।এতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।তাছাড়াও করোনা রোগীদের ভেন্টিলেশন দাওয়া হয়,এই ভেন্টিলেশন ঠিক মতো কাজ করছে কি না সেটিও pulse oximeter এর সাহায্যে পরীক্ষা করা যায়।
মেশিনটি কি ভাবে কাজ করে?
Pulse Oximeter এর নিচের অংশে লাল রং এর ইনফ্রারেড লাইট ব্যাবহার করা হয়। যখন pulse oximeter এ হাত রাখা হয় তখন IR pulse কে detect করে এবং photo diode এখানে sensor হিসেবে কাজ করে ও IR থেকে পাওয়া pulse signal কে sence করে।তারপর analog to degital এ convert হয়ে micro-controller এর মাধ্যমে dislpay তে value show করে।
No comments:
Post a Comment