রেক্টিফায়ার সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর জেনে নিন
রেক্টিফায়ার ইলেকট্রনিক্স বিষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। আমরা ছোট ছোট প্রজেক্টে রেক্টিফায়ার ব্যবহার করে থাকি। আজ আমরা রেক্টিফায়ারের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্বন্ধে জানতে চেষ্টা করবো। তাহলে একনজরে দেখে নেই আলোচ্য বিষয়গুলোঃ
1. রেকটিফায়ার কাকে বলে? এর কাজ ও প্রকারভেদ।
2. হাফ ওয়েবের তুলনায় ফুল ওয়েব রেকটিফায়ার সুবিধা-অসুবিধা।
3. হাফ ওয়েব এবং ফুল ওয়েব রেকটিফায়ার এর মাঝে পার্থক্য।
4. রিপল ফ্যাক্টর এবং রেকটিফায়ার দক্ষতা বলতে কি বুঝায়।
5. ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ও প্রকারভেদ?
6. রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট ব্যবহারের কারণগুলি
কি কি?
কি কি?
রেক্টিফায়ার কাকে বলে? এর কাজ ও প্রকারভেদ
রেক্টিফায়ারঃ যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সাহায্যে অল্টারনেটিং কারেন্টকে ডাইরেক্ট কারেন্টে রূপান্তরিত করা হয় তাকে রেক্টিফায়ার বলে।
রেক্টিফায়ারের কাজঃ সংজ্ঞা থেকে বুঝা যাচ্ছে রেক্টিফায়ার অল্টারনেটিং কারেন্টকে ডাইরেক্ট কারেন্টে রূপান্তরিত করে।
প্রকারভেদঃ রেকটিফায়ার প্রধানত দুই প্রকার।
যথাঃ ১) হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার। ২) ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার।
ফুল ওয়েভ রেক্টিফায়ারকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথাঃ ১) ফুল ওয়েভ সেন্টার টেপ রেকটিফায়ার। ২) ফুল ওয়েভ ব্রিজ রেকটিফায়ার।
হাফ ওয়েবের তুলনায় ফুল ওয়েব রেক্টিফায়ারের সুবিধা-অসুবিধা
সুবিধা
হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার তুলনায় ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ারের দক্ষতা বেশি।
ফুল ওয়েভের উভয় হাফ সাইকেল ডিসি হয়।
ফুল ওয়েভের আউটপুট ভোল্টেজ বেশি।
রিপল ফ্যাক্টরের মান কম।
হাফ ওয়েভের চেয়ে ডিস্টরশন কম।
অসুবিধা
এই ব্যবস্থায় ফুল ওয়েভ রেক্টিফায়ারে কম্পোনেন্টের পরিমাণ বেশি লাগে।
ফুল ওয়েভ সিস্টেম যদি সেন্টার টেপ হয়ে থাকে তাহলে এই ব্যবস্থায় সেন্টার হারিয়ে গেলে বাহির করা বেশ কঠিন।
ট্রানজিস্টর সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন
হাফ ওয়েব এবং ফুল ওয়েব রেক্টিফায়ার এর মাঝে পার্থক্য
হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার
হাফ ওয়েভ এর সাহায্যে এসি ইনপুট পজেটিভ অর্ধ সাইকেলকে ডিসি রুপে আউটপুটে পাওয়া যায়।
ভোল্টেজ কম পাওয়া যায়।
কারেন্ট কম পাওয়া যায়।
এতে একটি মাত্র ডায়োডের প্রয়োজন হয়।
এর দক্ষতা কম।
এই রেকটিফায়ার এর নয়েজ কম।
এই রেকটিফায়ারের ব্যবহার অনেক কম।
ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার
ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ারের সাহায্যে এসি ইনপুট সিগনালের উভয় অর্ধ সাইকেলকে ডিসি রূপে আউটপুট পাওয়া যায়।
ভোল্টেজ বেশি পাওয়া যায়।
কারেন্ট বেশি পাওয়া যায়।
একাদিক ডায়োডের প্রয়োজন হয়।
এর দক্ষতা বেশি।
এর রেকটিফায়ার নয়েজ বেশি।
এই রেকটিফায়ারের ব্যবহার বেশি।
রিপল ফ্যাক্টর এবং রেক্টিফায়ার দক্ষতা বলতে কি বুঝায়
রিপল ফ্যাক্টরঃ রেকটিফায়ারের আউটপুটে পালসেটিং ডিসি পাওয়া যায়, এর এসি কম্পোনেন্ট এর RMS value এবং ডিসি কম্পোনেন্টের মানের অনুপাতকে রিপল ফ্যাক্টর বলে।
রিপল ফ্যাক্টর= এসি কম্পোনেন্ট এর R.M.S value / ডিসি কম্পোনেন্ট এর value
রেকটিফায়ারের দক্ষতাঃ রেকটিফায়ার আউটপুটের ডিসি পাওয়ার এবং ইনপুটের এসি পাওয়ারের অনুপাতকে রেকটিফায়ারের ইফিসিয়েন্সি বলে।
Rectifier Efficiency = D.C power Input / Input A.C power
ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ও প্রকারভেদ?
আমরা রেকটিফায়ারের আউটপুট থেকে যে ডি.সি ভোল্টেজ পেয়ে থাকি তা বিশুদ্ধ ডিসি নয়, তা সাধারণত পালসেটিং ডিসি। ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের জন্য বিশুদ্ধ ডি.সি ভোল্টেজ প্রয়োজন।
একারনে মূলত ফিল্টার সার্কিট ব্যবহার করে পালসেটিং ডিসিকে বিশুদ্ধ ডিসিতে রূপান্তরিত করা হয়। বিশুদ্ধ ডিসি করতে যে সার্কিট ব্যবহার করা হয় তাকে ফিল্টার সার্কিট বলে।
প্রকারভেদঃ
ফিল্টার সার্কিট প্রধানত তিন প্রকার।
১) প্যারালাল বা শান্ট ক্যাপাসিটর ফিল্টার।
২) সিরিজ ইন্ডাক্টর ফিল্টার।
৩) ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর ফিল্টার।
রেক্টিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট ব্যবহারের কারণগুলি কি কি?
রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট ব্যবহারের কারনগুলো হচ্ছেঃ
পালসেটিং ডিসি থেকে বিশুদ্ধ ডিসিতে রূপান্তরিত করার জন্য।
হারমনিক্স জনিত Distortion হতে আউটপুট কারেন্টকে মুক্ত রাখার জন্য।
ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ব্যবহার অনুযায়ী রেক্টিফাইড আউটপুটকে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ব্যবহার উপযোগী আউটপুট তৈরি করার জন্য।
No comments:
Post a Comment